সঠিক আক্বীদাই পরকালীন জীবনে মুক্তির উপায়

সঠিক আক্বীদাই পরকালীন জীবনে মুক্তির উপায় ভূমিকা : আল্লাহ তা‘আলা মানব জাতিকে আশরাফুল মাখলূকাত তথা সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব হিসাবে দুনিয়ায় প্রেরণ করেছেন। মানুষ তার শ্রেষ্ঠত্বের প্রমাণ পেশ করে আক্বীদা বা বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করেই। ইহা এমন এক ভিত্তি, যাকে অবলম্বন করেই মানুষ তার সার্বিক জীবন পরিচালনার গতিপথ নির্ধারণ করে। আক্বীদা বা বিশ্বাস যার বিশুদ্ধ নয় তার…

বিস্তারিত পড়ুন

ثالثا: البدع في مجال العبادات والتقرب إلى الله – ৩. ইবাদতের ক্ষেত্রে বিদআতসমূহ

ثالثا: البدع في مجال العبادات والتقرب إلى الله – ৩. ইবাদতের ক্ষেত্রে বিদআতসমূহ বর্তমানে ইবাদতের ক্ষেত্রে যে সমস্ত বিদআতের আবিষ্কার হয়েছে, তার সংখ্যা অনেক। যার পক্ষে কোন দলীল-প্রমাণ নেই। অথচ আল্লাহর ইবাদতের জন্য মূলনীতি হলো, التوقيف অর্থাৎ সকল প্রকার ইবাদতের পক্ষে কুরআন বা হাদীছ থেকে দলীল থাকতে হবে। দলীল ছাড়া কোনো ইবাদত শরী‘আতভুক্ত হওয়ার যোগ্য নয়। যে…

বিস্তারিত পড়ুন

ثانيا: التبرك بالأماكن والآثار والأشخاص أحياء وأمواتا – ২. বিশেষ স্থান, সৎ লোকদের পরিত্যক্ত জিনিস, প্রাচীন নির্দশনাবলী ও জীবিত-মৃত অলীর কাছ থেকে বরকত হাসিল করা

ثانيا: التبرك بالأماكن والآثار والأشخاص أحياء وأمواتا – ২. বিশেষ স্থান, সৎ লোকদের পরিত্যক্ত জিনিস, প্রাচীন নির্দশনাবলী ও জীবিত-মৃত অলীর কাছ থেকে বরকত হাসিল করা কোনো বস্তুতে স্থায়ীভাবে কল্যাণ থাকা এবং তা বৃদ্ধি হওয়ার নাম তাবাররুক। কাজেই যে বস্তুতে বরকত নেই এবং যে ব্যক্তি বরকতের ক্ষমতা রাখে না, তা থেকে বরকত লাভের আশা করা বৈধ…

বিস্তারিত পড়ুন

الولاء والبراء – বন্ধুত্ব রাখা এবং শত্রুতা পোষণ করার নীতিমালা

الولاء والبراء – আল ওয়ালা ওয়াল বারা (বন্ধুত্ব রাখা এবং শত্রুতা পোষণ করার নীতিমালা) ‘‘সংক্ষিপ্তভাবে ইসলামী আকীদার মৌলিক বিষয়গুলো বর্ণনা করার পর একটি আবশ্যিক বিষয়ের প্রতি ইঙ্গিত করছি। তা হলো ইসলামী আকীদার এসব বিষয়কে দীন হিসাবে গ্রহণকারী প্রত্যেক মুসলিমের উপর আবশ্যক হলো, যারা উপরোক্ত বিষয়গুলোকে তাদের আকীদা হিসাবে গ্রহণ করে তাদেরকে বন্ধু বানাবে এবং যারা…

বিস্তারিত পড়ুন

الأصل الخامس: الإيمان باليوم الآخر – পঞ্চম মূলনীতি: শেষ দিবসের প্রতি ঈমান

 الأصل الخامس: الإيمان باليوم الآخر – পঞ্চম মূলনীতি: শেষ দিবসের প্রতি ঈমান শেষ দিবস উপস্থিত হওয়ার পূর্বে যেহেতু অনেক আলামত প্রকাশিত হয়ে তা নিকটবর্তী হওয়ার নির্দেশনা প্রদান করবে এবং সেগুলোকে যেহেতু কিয়ামতের আলামত হিসাবে নামকরণ করা হয়েছে, তাই উক্ত আলামতসমূহ থেকে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ কতিপয় আলামত এখানে উল্লেখ করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছি। কেননা কিয়ামতের আলামতসমূহের প্রতি…

বিস্তারিত পড়ুন

নবী ও রসূলের মধ্যে পার্থক্য কী

নবী ও রসূলের মধ্যে পার্থক্য কী এখানে একটি মাস‘আলা বর্ণনা করা আবশ্যক। তা হলো নবী ও রসূলের মধ্যে পার্থক্য কী? নবী ও রসূলের মধ্যে পার্থক্য আছে কি না এ ব্যাপারে প্রসিদ্ধ মতটি হলো, রসূল বলা হয় এমন পুরুষকে যার নিকট আল্লাহ তা‘আলা নতুন শরী‘আত পাঠিয়েছেন এবং তাকে সেটা প্রচার করার আদেশ দেয়া হয়েছে। আর নবী…

বিস্তারিত পড়ুন

الأصل الرابع: الإيمان بالرسل – চতুর্থ মূলনীতি: রসূলগণের প্রতি ঈমান

الأصل الرابع: الإيمان بالرسل – চতুর্থ মূলনীতি: রসূলগণের প্রতি ঈমান রসূলগণের প্রতি ঈমান আনয়ন করা ঈমানের অন্যতম রুকন। কেননা আসমানী বার্তা মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়ার ব্যাপারে তারা আল্লাহ তা‘আলা ও মানুষের মাঝে মাধ্যম স্বরূপ এবং তাদের মাধ্যমে আল্লাহ তা‘আলা সৃষ্টির উপর দলীল-প্রমাণ কায়েম করেছেন। রসূলদের প্রতি ঈমান আনয়নের অর্থ হলো তাদের রিসালাতের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন…

বিস্তারিত পড়ুন

الأصل الثالث: الإيمان بالكتب – তৃতীয় মূলনীতি: আসমানী কিতাবসমূহের প্রতি ঈমান

الأصل الثالث: الإيمان بالكتب – তৃতীয় মূলনীতি: আসমানী কিতাবসমূহের প্রতি ঈমান আসমানী কিতাবসমূহের প্রতি ঈমান আনয়ন করা ঈমানের অন্যতম রুকন। আসমানী কিতাবগুলোর প্রতি ঈমান আনয়নের অর্থ হলো দৃঢ় বিশ্বাস করা যে এগুলো সত্য ও সঠিক। আরো বিশ্বাস করা যে, এগুলো আল্লাহ তা‘আলার কালাম। তাতে রয়েছে হিদায়াত, নূর এবং যাদের প্রতি এগুলো নাযিল করা হয়েছে, তাদের…

বিস্তারিত পড়ুন

الأصل الثاني: الإيمان بالملائكة – দ্বিতীয় মূলনীতি: ফেরেশতাদের প্রতি ঈমান

الأصل الثاني: الإيمان بالملائكة – দ্বিতীয় মূলনীতি: ফেরেশতাদের প্রতি ঈমান ফেরেশতাদের প্রতি ঈমান আনয়ন করা ঈমানের ছয়টি রুকনের অন্তর্ভুক্ত। ঈমান সম্পর্কে জিবরীল আলাইহিস সালামের প্রশ্নের জবাবে নবী সাল্লাল্লাহু  আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, (أَنْ تُؤْمِنَ بِاللَّهِ وَمَلَائِكَتِهِ وَكُتُبِهِ وَرُسُلِهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ وَتُؤْمِنَ بِالْقَدَرِ خَيْرِهِ وَشَرِّهِ) ‘‘তুমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করবে (১) আল্লাহ পাকের উপর (২) তার ফেরেস্তাদের…

বিস্তারিত পড়ুন

بيان ألفاظ لايجوز أن تقال في حق الله تعالى تعظيما لشأنه – আল্লাহ তা‘আলার বড়ত্ব ও মর্যাদা অক্ষুন্ন রাখতে তার জন্য অশোভনীয় শব্দ ব্যবহার করা জায়েয নয়

بيان ألفاظ لايجوز أن تقال في حق الله تعالى تعظيما لشأنه – আল্লাহ তা‘আলার বড়ত্ব ও মর্যাদা অক্ষুন্ন রাখতে তার জন্য অশোভনীয় শব্দ ব্যবহার করা জায়েয নয় আল্লাহ তা‘আলা সবচেয়ে মহান ও সবচেয়ে বড়। তার প্রতি বড়ত্ব ও মর্যাদা প্রদর্শন করা আবশ্যক। এমন কিছু শব্দ আছে, যা তার প্রতি সম্মান, মর্যাদা ও বড়ত্ব প্রদর্শনের জন্যই…

বিস্তারিত পড়ুন